খেলা ডেস্ক:
প্রায় কাছাকাছি সময় ভিন্ন তিন মাঠে শুরু হয়েছিল তিনটি টেস্ট ম্যাচ। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান, মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ও কলকাতায় ইডেন গার্ডেনসে খেলতে নেমেছিল ভারত-বাংলাদেশ।
গতকাল রবিবারই ফল এসে যায় অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ও ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের।
সে দুই ম্যাচেই ইনিংস ব্যবধানে জেতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে ইনিংস ও ৫ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংস ও ৪৬ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করে ভারত। কাছাকাছি সময়ে শুরু হওয়া নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচটি শেষ হলো আজ (সোমবার)। কাকতালীয়ভাবে এ ম্যাচেও ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় নির্ধারিত হয়ে গেছিল ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষেই। কিউইদের করা রানপাহাড়ের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬২ রানের লিডের নিচে চাপা পড়ে সফরকারীরা। এর মধ্যে আবার মিচেল স্যান্টনারের শেষ বিকেলের ঘূর্ণিতে মাত্র ৫৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
যার ফলে ইনিংস পরাজয় এড়াতে ম্যাচের পঞ্চম দিনে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে করতে হতো অন্তত ২০৭ রান। সে মিশনে ব্যর্থ হয়েছে ইংলিশরা। নেইল ওয়াগনারের গতিতে পরাস্ত হয়ে তারা অলআউট হয়েছে ১৯৭ রানে। ইনিংস ও ৬৫ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
আগেরদিনের ৩ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে আজ তেমন সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ড। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৩৮ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। বলার মতো কেবল জো ডেনলি ৩৫ ও বেন স্টোকস করেন ২৮ রান।
ইনিংস পরাজয় যখন একমাত্র নিয়তি, তখন ইংলিশদের খানিক আশার আলো দেখান স্যাম কুরান ও জোফরা আর্চার। দুজন মিলে নবম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৯ রান। তবে দুই বলে শেষ দুই উইকেট নিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভেঙে দেন ওয়াগনার। কুরান ২৯ ও আর্চার করেন ৩০ রান।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ৪৪ রানে ৫ উইকেট নেন ওয়াগনার। এছাড়া স্যান্টনার ৩, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও টিম সাউদি নেন ১টি করে উইকেট।